অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানান।
এর আগে, দিনভর সামাজিকমাধ্যমে ফারুকীর উপদেষ্টা পদ ছাড়ার গুঞ্জন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
উপদেষ্টা ফারুকী ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশার সঙ্গে একটি সেলফি শেয়ার করে শফিকুল আলম ফেসবুক পোস্টে বলেন, আমাদের সংস্কৃতি বিষয়ক নতুন উপদেষ্টা ফারুকী। আগামীকাল সোমবার (১৮ নভেম্বর) তিনি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে তার নতুন ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবেন।
আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতিতে কীভাবে গতি আনা যায়, সেই পরিকল্পনাও তুলে ধরবেন ফারুকী বলে পোস্টে জানান প্রেস সচিব।
গত ১০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। ফারুকীর বিগত দিনের ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ভাইরাল হতে শুরু করে। ফারুকীকে আওয়ামী সরকারের দোসর উল্লেখ করে অনেকে তার পদত্যাগ দাবি করেন।
সমালোচনার জবাবে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন ফারুকী। এমনকি শাপলা চত্ত্বরের ঘটনা নিয়ে সেখানে ব্যাখ্যা দিয়ে ফারুকী লিখেছেন, ‘শাপলা চত্বরের ঘটনা নিয়ে দেওয়া পোস্ট প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, বহু ডিজিটাল কার্ড এবং ফেইক স্ক্রিনশট ঘুরছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে, আমি নাকি ২০১৩ সালে বলেছি— “শাপলা চত্বর জজ্ঞালমুক্ত হয়েছে।” ডাহা মিথ্যা কথা। শাপলা চত্বরের ঘটনার পরে আমি বরং লিখেছি, মাদ্রাসার সাধারণ ছাত্রদের মৃত্যুতে আমি ঘুমাতে পারছি না! ইংরেজিতে লেখা পোস্টটা আগ্রহীরা দেখে আসতে পারেন। আমার ছবি দিয়ে কিছু কিছু ফেইক উইকিপিডিয়া স্ক্রিনশটও ঘুরছে। প্লিজ ইগনোর অল দিজ।’
ফারুকী জানিয়েছেন, উপদেষ্টা হিসেবে তিনি নিজের কাজ উপভোগ করছেন। এ সপ্তাহে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন এই নির্মাতা। এমনকি জুলাই অভ্যুত্থান ও ১৫ বছরের দুঃশাসন নিয়েও ব্যতিক্রম কিছু কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।