খুলনা বিএনপির সুধী সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৯ জন। তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পর সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। স্থানীয় নাজমুল বাবু ও সরোয়ার গ্রুপের চাঁদাবাজির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বলে দাবি করেছে একটি পক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর খালিশপুর পিপলস গোল চত্বরে ৮ ও ১০নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ আয়োজনে সুধী সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করছিলেন প্রধান বক্তা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। ওই সময় যুবদল নেতা সরোয়ার হোসেন তার সমর্থকদের সঙ্গে করে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌঁছে তার নাম মাইকে প্রচার করার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় অপর যুবদল নেতা নাজমুল হক বাবু ও তার সমর্থকরা তাদেরকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় উভয় পক্ষই চেয়ার ও লাঠি নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়।
পরিস্থিতি শান্ত করতে সিনিয়র নেতারা উদ্যোগ নিলেও সংঘর্ষ ব্যাপকতা লাভ করায় তারা পিছু হটে।
তবে অপর একটি পক্ষ দাবি করেছেন, নগরীর খালিশপুর চিত্রালী বাজার থেকে ক্রিসেন্ট বাজার পর্যন্ত ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে কিছুদিন ধরে নাজমুল বাবু ও সরোয়ার হোসেন গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় সুধী সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে তা বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
এ বিষয়ে বিএনপি নগর শাখার সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।
তবে মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলটন চাঁদাবাজির আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার বহিঃপ্রকাশের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে ভন্ডুল করতে আওয়ামী লীগের কিছু অনুপ্রবেশকারী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আহত সবাই বিএনপি ও যুবদলের কর্মী বলে জানান তিনি।