তিনি বলেছেন, আমি সরকারি কর্মকর্তা ছিলাম। আচরণবিধি সম্পর্কে আমি জানি। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা যখন বললেন, সবারই এখন প্রাণ খুলে কথা বলার অধিকার আছে। সেই জন্য হয়তো আমার মেয়ে বলেছে। সে তো বয়সে তরুণ তার মধ্যে ইমোশনাল কাজ করতে পারে। সে হয়তো প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। এটা নিয়ে সারা দেশব্যাপী আলোচনা সমালোচনা ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আসলে এটা সে বুঝতে পারে নাই। একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে তাকে আরেকটু সংযত হওয়ার দরকার ছিল। আমি মনে করি তাকে ভুল বোঝার সুযোগ দেয়া উচিৎ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নসিবপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। বাবা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ। এ ছাড়া তিনি ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী আনন্দমোহন কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তবে বর্তমানে তিনি অবসর জীবনযাপন করছেন।
উর্মির মা নাসরিন জাহান বর্তমানে মুক্তাগাছার হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে কাশর জেল রোড এলাকায় নিজ বাসায় বসবাস করেন।
মেয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তার বাবা ইসমাইল হোসেন ও মা নাসরিন জাহানের কাছে। তারা মেয়ের বিষয়টি অন্যায় হিসেবে দেখছেন না।
নাসরিন জাহান বলেন, আমার মেয়ে যে পোস্ট দিয়েছে আসলেই সত্য কথা। সেটা তার চাকরির বিধিতে কতটুকু ভুল এটা তো আমার জানা নেই। যে টুকু আমি দেখলাম চাকরি-বিধি, তাতে তো সে অন্যায় করেনি। তার ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করার অধিকার আছে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ডা. মো. ইউনূস বলেছিলেন, আমার সমালোচনা করুন যতো পারুন প্রাণ খুলে তত সমালোচনা করুন। যদি সমালোচনা করতে গিয়ে, এমন অবস্থা হয় তাহলে সবারই তো (ওএসডি) হবে। আমার মেয়ে যা লিখেছে আমি মনে করি সে আসলে কোন দল বা রাজনৈতিক কোন বিষয় নিয়ে কথা বলেনি। উনি শুধু মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেছেন। এটা আসলে সত্য কথা এটা সারাদেশের মানুষের মনের কথা।
নাসরিন জাহান আরও বলেন, আমারও ভালো লেগেছে সে শেষে যে কথাটি লিখেছে। শেখ মুজিব কোন জাতির বা দলের না, তিনি সকল বাঙালি জাতির। বঙ্গবন্ধু যে আমাদের জাতির পিতা দেশ ও সমাজের মানুষ এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আমার মেয়ে অন্যায় করে থাকলে বিচার হবে। আমি চাই তদন্ত করে আমার মেয়ের বিচার হোক।