বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তরা রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার রাখলেও এই মুহূর্তে এমন চিন্তা নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করবে বলে মন্তব্য করছেন অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত মানুষগুলোর নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। তবে গণতান্ত্রিক অধিকার থাকলেও অভ্যুত্থান পরবর্তী এই সময়ে সেটা করলে নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হবে।’
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্য এবং ছাত্রদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মাদারীপুর পৌরসভার হলরুমে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামের প্ল্যাটফর্মে নয়, অন্য কোনও নতুন নামে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত মানুষগুলো রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে করা যেতে পারে। তবে তা করার সময় এখন নয়।’
সবাইকে সতর্ক করে সারজিস আলম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর গিরগিটির মতো ভুয়া সমন্বয়ক তৈরি হয়েছে। তাদের আলাদা করতে হবে। তাদের মধ্যে সুবিধাবাদী চরিত্রটা আগেও ছিল এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। তাদের আলাদা করা না হলে সমন্বয়কের নাম ভাঙিয়ে আমাদের ইমেজকে খেয়ে ফেলবে। দেশের অনেক জেলায় এমনটা হচ্ছে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এই সমন্বয়ক বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার যে অপকর্ম করেছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সেই জায়গাটা ভেঙে গেছে। ওই সুবিধাবাদীরা ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে, চক্রান্ত করছে। এজন্য সবাইকে একসঙ্গে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, ১৬ বছরের রেডি করা সেট আপ, অল্পকিছু মাথা পালাইছে, তাদের আসতে বেশি সময় লাগবে না।’
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের মধ্যে কেউ যদি ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্টস হওয়ার চিন্তা করেন কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করার চেষ্টা করেন, তাদের বহিষ্কার করে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছাত্ররা কেউ আলাদা হবেন না। সবাই একসঙ্গে থাকবেন। তা না হলে পরিণতি খারাপের দিকে যাবে।’