সংখ্যালঘু ইস্যুকে কেন্দ্র করে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে। বিজেপিপন্থী উগ্র হিন্দু, আওয়ামীপন্থী হিন্দু ও হিন্দু-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সম্মিলিতভাবে এই ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছে। অবশ্যই ভারতের পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে এখানে। ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে, ৫ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত সামপ্রদায়িক আক্রমণ চালিয়ে ৯ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এ দাবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে ইন্ডিয়ার রাবিশ মিডিয়ার বাইরেও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বার বার এ দাবি উচ্চারিত হয়েছে। নিউইয়র্কে বিলবোর্ড টানিয়ে প্রচার করা হয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দু জেনোসাইড চলছে। লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে, ট্রাম্পকে দিয়ে টুইট করানো হয়েছে।
এখন নেত্র নিউজের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, একটা ঘটনাও সামপ্রদায়িক আক্রমণের ছিলো না। সবগুলোই ছিলোই রাজনৈতিক এবং বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এবং অতীতে মানুষকে নিপীড়ন করেছেন।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের মোসলমানরা বুক পেতে হিন্দুদের রক্ষা করেছে। যেভাবে সবাই এগিয়ে এসেছে সেটা ছিলো অভূতপূর্ব। গত এক দশকে এবার সবচেয়ে কম ঝামেলাপূর্ণ দুর্গা পূজা উদযাপিত হয়েছে। তবু উগ্র ও আওয়ামী হিন্দুদের এই ধরনের প্রচারণা এবং প্রগতিশীল হিন্দুদের চুপ থাকা বাংলাদেশ হিন্দু-মুসলিমের আস্থা-বিশ্বাসকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বিজেপির সাথে যোগাযোগ রক্ষাকারী হিন্দুরা আসলে বাংলাদেশকে ধারণ করে না৷ তারা অখন্ড ভারতের স্বপ্নে বিভোর। বাংলাদেশপন্থী হিন্দুদের উচিত এদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং হিন্দু-মুসলিম আস্থাকে দৃঢ় করার জন্য কাজ করা।