দশম শ্রেণিতে পড়েন মনীষা। মাত্র ১৬ বছর বয়স। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বছর গড়ালেই এসএসসি পরীক্ষা। প্রস্তুতিও চলছিল জোরেশোরে। ফুটফুটে সুন্দর এবং চঞ্চলতার কারণে পরিবার, শিক্ষক-সহপাঠীদের কাছেও অতি প্রিয়। কন্যা মনীষাকে নিয়ে রাজমিস্ত্রি বাবা নজরুল ইসলামের চোখে অযুত স্বপ্ন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে সব স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় একটি সংবাদে। কারণ মেধাবী মনীষা ডাক্তারি পরিভাষায় ‘মেডুলা অবলংগাটা এবং মস্তিস্কে প্রবাহে টিউমার’- এ আক্রান্ত।
এরপর থেকে নজরুল ইসলাম নানা হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন কন্যাকে নিয়ে। ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে জমানো সব টাকা। আত্মীয়স্বজনদের থেকে ধারও করেছেন অনেক। উল্টো গত কয়েক সপ্তাহ কন্যাকে নিয়ে নানা হাসপাতালে যাওয়ায় নিজেও কাজ করতে পারেননি। ফলে দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে ঠিকঠাক চুলাও জ্বলছে না। সর্বশেষ ভর্তি করা হয় রাজধানীর শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আলী কবিরের তত্ত্বাবধনে রয়েছেন। বর্তমানে মনীষা কেবিন ব্লকের আইসিইউ সিট নম্বর ১৩-তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, প্রতিদিন প্রায় আইসিইউতে ওষুধসহ অন্য আনুষঙ্গিক খরচ হচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। যে টাকা রাজমিস্ত্রি নজরুল ইসলামের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।
মনীষার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে বড় কিছু হবে। নিজে রাজমিস্ত্রির কাজ করলেও ওর পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনো অপূর্ণতা রাখিনি। কিন্তু আল্লাহ বড় বিপদ দিয়ে পরীক্ষা করছেন। মেয়েটা এখন বাঁচতে চায়। আমি অসহায় বাবা- সব বিক্রি করেও টাকা জোগার করতে পারছি না। ডাক্তার বলেছেন চিকিৎসার জন্যে অন্তত ৬/৭ লাখ টাকা দরকার। তিনি বলেন, ফুটফুটে মেয়েটার মুখের দিকে তাকাতে পারছি না। মৃত্যুভয় তাড়া করছে। শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। মানুষ চাইলেই আমার মেয়েটা বেঁচে যায়। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় তবে আমার মেয়ের মুখে আরও অনেক দিন বাবা ডাকটা শুনতে পারব।
মনীষার বাবা নজরুল ইসলামের মোবাইল নম্বর- ০১৭৩২ ৯৩২ ৪১৩। যে কোনো সহায়তা পাঠানোর জন্যে বিকাশ/রকেট- ০১৬৭৬ ৭৬৬ ৩৬৩ (পার্সোনাল), বিকাশ- ০১৭১৯ ১৮৮ ২৭৮ (পার্সোনাল)।