টাইম ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মবিশ্বাসী যে, বিশ্বের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও তিনি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ‘অভিন্ন ভিত্তি’ খুঁজে পাবেন।
ইউনূস বলেছেন, ‘ট্রাম্প একজন ব্যবসায়ী, আমরা ব্যবসা করছি। আমাদের কিছু সংকট থেকে উত্তরণে আমরা সাহায্য করার জন্য বিনামূল্যে অর্থ চাইছি না, একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই।’
টাইম ম্যাগাজিন আরও জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যবসার জন্য উর্বর রয়েছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। তবে এখনও সংস্কারের গতি ধীর হওয়ায় সন্দেহ কিছুটা বেড়েছে।
৩১ অক্টোবর ট্রাম্প এক্স পোস্টে ‘হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত সহিংসতার নিন্দা জানান, যারা বাংলাদেশে উত্তেজিত জনতার দ্বারা আক্রান্ত ও লুটপাটের শিকার হচ্ছে, যা এখনও পুরোপুরি বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে।’
২০১৬ সালের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়ের জন্য প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘ট্রাম্পের বিজয় আমাদের এতটাই আঘাত করেছে যে আজ সকালে আমি কথা বলতে পারছি না। আমি সব শক্তি হারিয়ে ফেলেছি।’
বিক্ষোভকারীরা যখন ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন ঘেরাও করছে, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যান। ভারতে থেকে তিনি এবং তার উপদেষ্টারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন।
অধ্যাপক ইউনূস জানিয়েছেন, প্রসিকিউটররা সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তিনি শেখ হাসিনার হস্তান্তর চাইবেন। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাতে সাড়রা দেবেন বলে খুব কম লোকই বিশ্বাস করেন।
ড. ইউনূস বলেছেন, ‘শুধু ভারতে আশ্রয়ই নয়, সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে তিনি কথা বলছেন, যা আমাদের জন্য অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে। সেই কণ্ঠস্বর শুনলে মানুষ খুব অখুশি হয়। সুতরাং, এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের সমাধান করতে হবে।’
টাইমকে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তরুণদের মন স্বপ্ন, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও আকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ। ‘তারা গ্রাফিতে তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোকে তুলে ধরেছিল এবং এটি এমন কিছু যা বাংলাদেশ কখনও দেখেনি।’