বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করায় চট্টগ্রাম আদালতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালীন আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছে আইনজীবীদের বিভিন্ন সংগঠন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, এদিন দুপুর ১টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান জানান, সুপ্রিম কোর্ট ছাড়াও সারা দেশের সব আইনজীবী সমিতির (বারে) বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।
একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বারের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির লিগ্যাল উইং। এ তথ্য নিশ্চিত করেন নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সাকিল আহমাদ।
এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর তার অনুসারীরা আদালত চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।