জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন সরকারের কোনো অংশ না হয়েও অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কিছু ব্যর্থতার দায়ভার তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া এনসিপির বিরুদ্ধে নির্বাচন আয়োজনে বাধা দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হয়, সেটাও সঠিক নয়। সম্প্রতি গনমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন ও নির্বাচনি জোটসহ বেশকিছু সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তার দল সব সময় নির্বাচনের পক্ষে। প্রয়োজনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু নির্বাচন তারাই পিছাতে চায় যারা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটাকে এড়িয়ে যে কোনোভাবে একটা নির্বাচনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। এটাই সন্দেহের সৃষ্টি করে।
দাবি অনুযায়ী নতুন সংবিধান না হলে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে এনসিপি কোনো ধরনের বাধা দেবে কি না-এমন প্রশ্নে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোন রাজনৈতিক দল তো নির্বাচন ঠেকিয়ে দিতে পারে না। এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন আয়োজনে ব্যর্থ হচ্ছে কিনা-সেই জায়গাটি আপনারা দেখতে পারেন। সরকার আসলে নির্বাচন আয়োজনে সফল হতে পারছে কি না-আমরা সেদিকেই মনোযোগী হচ্ছি।
নতুন রাজনৈতিক দল হিসাবে এনসিপির অর্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, রাজনীতির মাঠে একটা প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে-কথা তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হচ্ছে-সত্য কথা, মিথ্যা কথা এবং রাজনৈতিক কথা। আমাদের চিন্তা, আমাদের কথা এবং কর্মের মাধ্যমে আমরা এই লাইনটা ব্রেক করতে পারছি। কথা ও কাজের মধ্যে আমরা একটা সিমিলারিটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারছি। একটা এস্টাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের রাজনীতি দাঁড় করানো ডিফিকাল্ট ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি।
সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনে এনসিপি সমর্থিত প্যানেলের ভরাডুবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা জিতেছে তারা সাংগঠনিকভাবে সুসংহত ছিল। এক্ষেত্রে লার্নিংটা হচ্ছে সাংগঠনিক সাপোর্ট বা ভিত্তিটা সুসংহত করা। সে জন্য তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সংগঠনকে আরও সংহত করার প্রতি আমরা বেশি মনোযোগী হচ্ছি। ডাকসু নির্বাচন ওয়ার্মআপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন আরও বৈচিত্র্যময়। ফলে ডাকসু আমাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার একটা বার্তা।