ঈদের দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে জানালো আবহাওয়া অফিস

গত কয়েকদিন সারা দেশে থেমে থেমে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টি অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহা উদযাপনে গ্রামের দিকে যাওয়া শুরু করেছেন নগরবাসী। সরকারি ছুটি শুরু হলে ঘরমুখো মানুষের চাপ আরও বাড়বে। এ ছাড়া কোরবানির পশু কেনাকাটার ব্যাপারও রয়েছে। ফলে বৈরী আবহাওয়া দুশ্চিন্তায় ফেলেছে মানুষকে।

আজ শনিবার (৩১ মে) বিকেলে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আগামী কয়েকদিন দেশের আট বিভাগেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে, আগামী কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড় বা লঘুচাপ সৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

আবুল কালাম মল্লিক আরও বলেন, কয়েকদিন ধরে দেশের প্রায় সব অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সকাল থেকেও বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকালও ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় টুকটাক বৃষ্টি হতে পারে। তবে, আগামী পরশু থেকে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসতে পারে, কিন্তু পুরোপুরি থামবে না। এখন পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে, তাতে পুরো সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টি হতে পারে। যদিও রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টির মাত্রা তুলনামূলক কম থাকবে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঈদের দিনও বৃষ্টি হতে পারে। তবে, কোথায় কোথায় কী পরিমাণ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা কঠিন। ঈদের দিন তিনেক আগে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে। এ সময়ে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে বলে গরম পড়বে। আগামী দুই তারিখের পর গরম কিছুটা বাড়বে। ভ্যাপসা গরম থাকবে। আগামী ৭ জুনের পর তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করতে পারে।

এদিকে আজ শনিবার সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহের শেষের দিকে সারা দেশেই তাপমাত্রা বাড়তে পারে। আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।

তবে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলে ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ভারী বর্ষণের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও কক্সবাজার জেলাগুলোর পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারী বর্ষণের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে।