সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ৫০ নেতা পদত্যাগ করেছেন। আজ রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা পদত্যাগ করেন। এসময় ঘোষিত কমিটিকে ‘অবৈধ ও একতরফা’ বলে অভিযোগ করেন।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন—সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ইয়াসির আরাফাত ইশান, যুগ্ম আহ্বায়ক আসির ইন্তেসার অয়ন, টিএম মুশফিক সাদ, রাহাত তালুকদার, সাদমান জাহিন, সংগঠক যুবায়ের আল ইসলাম সেজান, সিনিয়র সহ-মুখপাত্র সাদিয়া আহমেদ সিনহা ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আঞ্জারুল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগকারীরা অভিযোগ করেন, পূর্বের আহ্বায়ক কমিটিকে বিলুপ্ত না করেই গোপনে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি, যা সংগঠনের গণতান্ত্রিক নীতি ও চর্চার পরিপন্থি।
পদত্যাগপত্রে তারা আরো উল্লেখ করেন, নতুন কমিটিতে এমন ব্যক্তিদের রাখা হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদকসংশ্লিষ্টতা ও প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় নীতি-আদর্শ রক্ষার্থে তারা ওই কমিটিতে থাকতে অসম্মতি জানান।
ছাত্র নেতারা বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম গণতান্ত্রিক উপায়ে কমিটি হবে। কিন্তু এ কমিটি রাত ১২টার পরে ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কথা বলব—কত টাকার বিনিময়ে এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হলো, সেটিও আলোচনা করব।’
নতুন কমিটির আহ্বায়ক মুনতাছির হাসান মেহেদী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে মেশার কারণে অনেককে আগেরবার পদেই রাখেনি, তাও তো এবার ওদের (পদত্যাগীরা) ভালো পদে রাখা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে এনসিপির কয়েকজন নেতা আছেন, যাদের জন্যই আজ দলের এ দশা তৈরি হয়েছে। ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জন দুর্নাম করবে এটা স্বাভাবিক, কিন্তু দুর্নাম করছে মাত্র কয়েকজন।’
উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ, মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুল ইসলাম ৬ মাসের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার ২০৮ সদস্যবিশিষ্ট নতুন আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন।
