টেসলা গাড়ির ভেতরে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন বাবা ও দুই শিশু

জার্মানির শোয়ার্ট শহরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এক টেসলা গাড়িচালক ও তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্ক পোস্টের খবরে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৭ সেপ্টেম্বর। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা খেয়ে মুহূর্তেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। এতে ৪৩ বছর বয়সী চালক ও নয় বছর বয়সী দুই শিশু আগুনে পুড়ে মারা যান।

পুলিশ জানিয়েছে, গাড়ির ভেতরে থাকা আরেক শিশু কোনোভাবে বের হতে সক্ষম হয় এবং তাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বাকি তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই রঙের দোকান চালান রোমান জেদ্রেজেভস্কি। তিনি আগুন দেখেই দৌড়ে যান এবং হাতে থাকা ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার দিয়ে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। তিনি জানান, ‘আমি মানুষগুলোকে বাঁচাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দরজা খুলতে পারিনি। আগুনের তাপে গাড়ি কাছে যাওয়া অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেসলার ইলেকট্রনিক দরজা দুর্ঘটনার পর বড় ঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত বোতাম চাপ দিয়ে দরজা খোলা যায়, কিন্তু দুর্ঘটনায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে তা অকেজো হয়ে পড়ে। গাড়ির ভেতরে ম্যানুয়াল রিলিজ ব্যবস্থা থাকলেও শিশু বা সাধারণ যাত্রীরা দুর্ঘটনার সময় ভেতর থেকে দরজা খোলার মত অবস্থায় থাকেন না অনেক সময়।

এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালে কানাডার টরোন্টোতে একটি টেসলা গাড়িতে আগুন ধরলে ভেতরে থাকা চার বন্ধু পুড়ে মারা যান। সে সময়ও তারা দরজা খুলতে না পারায় গাড়ির ভেতরেই আটকে পড়েছিলেন বলে জানা যায়।

চলতি বছরের এপ্রিলে জার্মানির মোটরগাড়ি সমিতি এ ধরনের রিট্র্যাকটেবল দরজাকে সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে সতর্ক করেছিল। এছাড়া সম্প্রতি আমেরিকার জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা প্রশাসন ২০২১ সালের প্রায় ১ লাখ ৭৪ হাজার টেসলার মডেল ওয়াই গাড়ির দরজার হাতল ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করেছে।

আপনার মতামত লিখুনঃ