ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের মধ্যে এবার প্রকাশ্যে এল তাদের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমের ভোট গণনার কক্ষে অবস্থানের ছবি।
মঙ্গলবার ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরুর সময়ের এমন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর প্রার্থীদের অনেকে এর সমালোচনা করছেন।
শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হওয়ার পর ডাকসু নির্বাচনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রশিবিরের পক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রদল। পরে সন্ধ্যায় ভোট চুরির অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে সংগঠনটিকে।
সাদিক কায়েমের দুটি ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করে সাতটি বাম ছাত্র সংগঠন সমর্থিত ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের এজিএস প্রার্থী জাবির আহমেদ জুবেল লিখেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ভোট গণনার সময় ভোট গণনার কক্ষে শিবির মনোনীত ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং সদস্য প্রার্থী রায়হান উদ্দিন ভোট গণনা কক্ষে প্রবেশ করেন।
“ডাকসুর কোনো প্রার্থীর ভোট গণনা কক্ষে প্রবেশের অনুমতি নাই। তবুও শিবিরের ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েম এবং সদস্য প্রার্থী রায়হান উদ্দিন কোন নিয়মের বলে ভোট গণনার কক্ষে প্রবেশ করেন, তা একটা বড় প্রশ্ন।”
পোলিং এজেন্টদের প্রতিবাদের মুখে তাদের ভোট গণনার কক্ষ থেকে বের হতে বাধ্য হওয়ার কথা ওই পোস্টে লেখেন তিনি।
অন্যদিকে সাদিক কায়েমের ওখানকার একটি ছবি প্রকাশ করে ডাকসুর সদস্য প্রার্থী মিশকাতুল মাশিয়াত লিখেছেন, “ভোট গণনার সময় সাদিক কায়েম আর রায়হান কেন্দ্রের ভিতর কীভাবে ঢুকে? নিজেকে সকল নিয়ম কানুনের ঊর্ধ্বে ভাবার এই সাহস শিবিরকে কে দেয়?”
এ বিষয়ে সাদিক কায়েম বলেন, “আমি সেখানে গিয়েছিলাম সেটা ৫টার দিকে। তবে আমি বেশিক্ষণ ছিলাম না। সর্বোচ্চ এক মিনিট ছিলাম।”
তার দাবি সেসময় তার সঙ্গে ছাত্রদল ও স্বতন্ত্র অন্য প্রার্থীরা ছিলেন।
সেখানে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বিকালের দিকে দেখি সব রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করছেন। সেটা জানাতেই আমি সেখানে গিয়েছি।”
‘বিনা অনুমতিতে’ সাদিক কায়েমের ভোট গণনা কক্ষে প্রবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে ডাকসু ভোটে আচরণবিধি বিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের প্রধান অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, “আমি অন্য কেন্দ্রে দায়িত্বে আছি। আমাদের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা বলতে পারবেন। তার সাথে যোগাযোগ করুন।”
এ বিষয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেন, “আমি এ বিষয়ে পরে কথা বলব। আমরা অন্য একটা ঝামেলায় আছি।”