রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিও নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। পুলিশের দাবি, ওই ভিডিওটি বাস্তবে খাবার খাওয়ার দৃশ্য, কিন্তু সেটিকে বিকৃতভাবে ‘অস্ত্র বিতরণের’ ভিডিও হিসেবে প্রচার করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে আরএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের একটি বাগানে কিছু লোকের আড্ডা ও খাওয়ার ভিডিওকে দূর থেকে ধারণ করে অস্ত্র বিলির অভিযোগে প্রচার করা হয়। অথচ ঘটনাস্থলেই পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্যদের অবস্থান ছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “খোলা জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখের সামনে অস্ত্র বিতরণ সম্ভব নয়। একটি মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ভিডিও ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
আরএমপি সতর্ক করে জানায়, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার, শেয়ার, লাইক বা কমেন্ট করা ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে। এই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় পুলিশ।
ছাত্রদল নেতার অভিযোগ
এর আগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান সাংবাদিকদের বলেন, “রাবির মেইন গেটের পাশে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্র বিতরণ করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, শিবিরের সাবেক ও বর্তমান নেতারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মী এনে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করিয়েছেন। তাদের মাধ্যমে বহিরাগতদের লিফলেট বিতরণ, সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা ও ভোটকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পক্ষপাতের অভিযোগও তুলেছেন ছাত্রদল নেতা
আমানউল্লাহ আমান আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মনে হচ্ছে আমি বিদেশে আছি। এখানে অনেক অপরিচিত মুখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে—এটা স্পষ্ট।”