গাজার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাত্রা শুরু করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ অভিযানের অংশ হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও চিকিৎসা পেশাজীবীদের সঙ্গে একটি জাহাজে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিকে কেন্দ্র করে গাজায় তার পৌঁছানোর যে দাবি করা হচ্ছে, সেটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে রিউমর স্ক্যানার টিম।
ছবিতে দেখা যায়, শহিদুল আলম ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি ভবনের সামনে শিশুদের খাবার ও পানি বিতরণ করছেন। দাবি করা হয়, তিনি গাজায় পৌঁছে ত্রাণ বিতরণ করছেন। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি এবং এটি বাস্তব কোনো ঘটনার প্রতিচ্ছবি নয়।
রিউমার টিম জানায়, শহিদুল আলম যাত্রাপথে থাকা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) ‘কনশানস’ নামের জাহাজে রয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (৩ অক্টোবর, বিকেল ৪টা ০১ মিনিট), জাহাজটি গাজায় পৌঁছায়নি এবং এখনও সমুদ্রপথেই রয়েছে। এমনটি দেখা গেছে ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের ইউটিউব লাইভ স্ট্রিমে।
এছাড়া শহিদুল আলম নিজেও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে যাত্রাপথের বিভিন্ন মুহূর্ত নিয়মিতভাবে শেয়ার করছেন। তবে কোথাও তিনি গাজায় পৌঁছানোর কিংবা ত্রাণ বিতরণের কোনো তথ্য প্রকাশ করেননি।
বিশ্বজুড়ে চলমান এই মানবিক মিশনকে ঘিরে ব্যাপক নজরদারি ও মিডিয়া মনোযোগ রয়েছে। শহিদুল আলম যদি গাজায় পৌঁছতেন এবং ত্রাণ বিতরণ করতেন, তবে তার দৃশ্যপট আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নিশ্চিতভাবে উঠে আসতো। কিন্তু এই ধরনের কোনো প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেও জানায় রিউমার স্ক্যানার টিম।