শোকজের প্রতিক্রিয়ায় যা জানালেন সিলেটের ডিসি সারওয়ার আলম

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলমকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরের জামানকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছেন আদালত।

গত ১১ সেপ্টেম্বর সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালত ‘এখতিয়ারবহির্ভূত ও বেআইনি সাময়িক বরখাস্ত আদেশে’র বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ সদর সিলেট আদালতে করা এক মামলায় এ শোকজ জারি করে আদালত। বাদী পক্ষের আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এদিকে, শোকজের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম চ্যানেল 24 কে জানান, খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্ব-প্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এ প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-প্রিন্সিপাল এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া, বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্য শিক্ষকদের ভাইস-প্রিন্সিপাল হিসেবে তাদের অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন। যা খাজাঞ্চিবাড়ী ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশনের বিধি লঙ্ঘন করায় মো. রোকন উদ্দিন ও আবেদা হককে সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তের পর তারা আদালতে গিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে আদালত ডিসি ও এডিসিকে শোকজ করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী জানান, দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক সিলেটের ডিসি ও স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এডিসির (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরুদ্ধে গত ৯ সেপ্টেম্বর তারিখের ‘এখতিয়ারবহির্ভূত ও বেআইনি সাময়িক বরখাস্ত আদেশে’র বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ সদর সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আর্জিতে বাদী এ বিষয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

আপনার মতামত লিখুনঃ