জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম হটস্পট হিসেবে নাম উঠে আসবে যাত্রাবাড়ি থানার। রাজাকার স্লোগানের পর যখন হাসিনা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর নৃশংস হামলা ও গুলিবর্ষণ শুরু করে তখন দেশের অনেক এলাকায় আন্দোলনের তীব্রতা সাময়িক কমে গেলেও বিপরীতে দ্বিগুণ গতিতে ক্ষোভের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায়।
আন্দোলনে বড় আকারের সংঘাতের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা, সংঘাতপূর্ণ অন্যান্য এলাকা শান্ত হতে থাকলেও অনেক বেশি সময় লেগেছে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণে আসতে। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, পুলিশের সাথে চলে দফায় দফায় সংঘর্ষ। প্রতিদিনই যাত্রাবাড়ী থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছে লাশ যার সংখ্যা ৫৮ জন।
এবার অভ্যুত্থানে জীবন দানকারী সেই শহিদদের স্মরণে রাখতে চৌরাস্তায় ৫৮ জন শহীদের নাম সম্বলিত ফলক বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে যাত্রাবাড়ীর বিপ্লবী ছাত্র-জনতা।
এ লক্ষ্যে ৫৮ জন শহীদের নাম, পেশা, জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ সংবলিত স্মৃতি ফলক তৈরি করে স্মৃতিস্তম্ভে স্থাপন করেছে স্থানীয় জনতা। সরকারিভাবে স্থানটিকে এখনো শহিদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া না হলেও খুব দ্রুতই তা করা হবে বলে জানা গেছে।
রাকিব রনি নামে একজন লিখেছেন, যাত্রাবাড়ী ছিলো বলেই আজ এক নতুন বাংলা। যাত্রাবাড়ীতে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুর বাসায় গিয়ে থাকছি। আপনারা না থাকলে সত্যিই এই অভ্যুত্থান সফল হওয়া কঠিন ছিলো। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা ২৪ এর গনহত্যায় শহীদদের প্রতি।
তানভীর বলেন, আমরা যেন বেঁচে থাকি এজন্য আমাদের বিপ্লবীরা নিজেদের জীবন দিয়ে গেছে। ছবিসহ দিলে আরও অর্থবহ হয়ে উঠতো। তবে দারুণ কাজ হয়েছে। বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক।