0.2 C
Munich
Thursday, December 26, 2024

দুশ্চরিত্র চিন্ময়কে নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা

জনপ্রিয় সংবাদ

সকল ধর্ম-বর্ণে শিশু বলাৎকার হলো নিষিদ্ধ ও হারাম। তারপরও ইসকন নেতা চিন্ময় প্রায় সময় শিশুদের সাথে বলাৎকার ও নারীদের সঙ্গে যৌন কাজে লিপ্ত থাকে। এটি সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে তিনি এই কাজে লিপ্ত। এ কারণে তাকে ইসকন থেকে বিভিন্ন সময় সতর্কও করা হয়। এতে বলা হয়- কোনো শিশু বা ১৮’র নিচে কোনো মেয়েদের সঙ্গে তিনি সংস্পর্শে আশতে পারবেন না। এছাড়া নারীদের সঙ্গে রাত্রীযাপন ও দিনের বেলায় সংস্পর্শে আশতে পারবেন না।

এ নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে চলছে তুমুল বিতর্ক। এছাড়া হিন্দু উগ্রবাদী সংগঠন ইসকনের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এমনকি ফ্যাসিস্ট ও খুনি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এই ইসকন নেতা বিভিন্ন ষড়যন্ত করে যাচ্ছে। যা বিভিন্ন সময় ফোনালাপের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়। কিছুদিন আগেও চট্টগ্রামে বিশৃঙ্খলার পেছনে তার ইন্ধন রয়েছে বলেও প্রমাণ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের হাতকড়া না পরানোর অনুরোধ

সনাতন ধর্মে তার দুশ্চরিত্র নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন বিভ্রান্ত ধারণা। তারা বলছেন, তার সাথে না থাকাই অনেক ভালো। কারণ তারা আরও বলছেন, আমাদের ধর্মে অনেক শিক্ষিত ও মার্জিত লোক আছে যারা বিভিন্ন সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও আমরা দেশের জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছি। এছাড়া এখনও দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের অবদান রয়েছে। কাজেই কিছু দুশ্চরিত্র লোকের সঙ্গে থাকলে নিচের সম্মান ও চরিত্র দুইটাই নষ্ট হয় বলে তারা জানান।

তবে হাতে-গোনা কিছু সন্ত্রাস ও লুটপাটকারি তার পেছনে রয়েছে। যারা পেছনে রয়েছে- তারা কোনো ধর্ম-বর্ণের নয়। বরং তারা সন্ত্রাস ও উগ্রবাদি। এগুলো স্বয়ং হিন্দু ধর্মের অনেক নেতাদের মতামত।

আরও পড়ুনঃ  মাথা ন্যাড়া ও গোফ কামিয়েও রক্ষা হলো না সাবেক ভূমিমন্ত্রীর

আশিষ কুমার দাস নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, চিন্ময় কবে দেশের নেতা হলো। তিনি কি দেশের কোনো ভালো কাজ করেছে। বরং তিনি চান দেশে একটা দাঙ্গা লাগাতে। আর দাঙ্গা লাগলে কি আমাদের জন্য ভালো হবে। এটা হলে আমাদের জন্যই খারাপ হবে। পরে আমরা দেশে থাকতে পারবো না। যা ১৯৭১ ও ১৯৪৭ সালে আমরা দেশে তাখতে পারেনি। আমরা চাই সবাই সুখে শান্তি থাকুক।

সুবাশিষ কর্মকার নামে একজন লিখেছেন, আমরা কোনো বাটপার ও সন্ত্রাস চিন্ময়ের সঙ্গে কোনো সময় ছিলাম না বরং এখনও নাই। আমরা চাই ইসকন থেকে তাকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হোক।

শিশির নামে একজন লিখেছেন, চিন্ময়ের মতো লোক দেশ ও জাতির জন্য কোনো সময় ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমরা চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তার কারণে আমাদের হিন্দু ধর্ম ভাই-বোনদের অসম্মান।

আরও পড়ুনঃ  শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সর্বশেষ সংবাদ