ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে টিএসসি ভোটকেন্দ্রে টিক দেওয়া ব্যালট শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদপ্রার্থী রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গা।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার এক পরিচিত ভোটার লাবু রাখাইন ভোট দিতে গিয়ে দেখতে পান, ব্যালট পেপারে ইতোমধ্যে দুই প্রার্থী—সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের নামে ‘ক্রস’ দেওয়া রয়েছে। এ ঘটনা ঘটে টিএসসি ভোটকেন্দ্রের টেবিল নম্বর ১-এ।
রূপাইয়ার অভিযোগ, ভোটার ব্যালট হাতে পেয়ে বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয়। প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ব্যালট পেপারে যদি আগেই টিক দেওয়া থাকে, তাহলে সেটি ভোটারের হাতে কেন দেওয়া হলো? টিক দেওয়া ব্যালট তো সরাসরি ব্যালট বাক্সে যাওয়ার কথা।’
এদিকে পুরো ঘটনাকে ‘খুবই কাঁচা নাটক” বলে আখ্যা দিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। এদিন বেলা ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আগে টিক দেওয়া ব্যালট বাক্সে না ফেলে শিক্ষার্থীর হাতে কেন দিবে? ধরা খাওয়ার জন্য? খুব কাঁচা নাটক হয়ে গেলো না?’
এর আগের একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘যাদের ঠকা কনফার্ম হইছে, তারা জলদি ‘সম্মিলিত বয়কট পর্ষদ’ ঘোষণা করেন। দুইটার মধ্যেই। কুইক।’
সর্বশেষ ২টা ২১ মিনিটে দেওয়া আরেকটি পোস্টে তিনি ভোটদানের আহ্বান জানিয়ে লেখেন, ‘ঢাবির ভাই-বোনেরা, আপনারা যারা এখনো ভোট দেন নাই, জলদি গিয়ে আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আসুন। ডাকসু বানচাল রুখে দিন।’
যদিও এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. নাসরিন সুলতানা। তিনি বলেন, ‘ব্যালট পেপার নিয়ে বুথে ঢোকার পর এমন অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। অভিযোগের পর আমরা সব ব্যালট পেপার পরীক্ষা করেছি, কোথাও এমন কিছু পাইনি। অভিযোগকারী ব্যালট পেপার হাতে নিয়েই অভিযোগ তুলেছেন, কিন্তু তিনি বুথে গিয়ে কিছুক্ষণ থেকে এসেছেন। ফলে এমন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও আমরা তাকে একটি ফ্রেশ ব্যালট পেপার দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখানে ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়ে গেছে। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই এমন অভিযোগ করে থাকতে পারে, অথবা শিক্ষার্থী নিজেই ভুল করে থাকতে পারেন।’