ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জয়কে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও ধারাবাহিক পরিশ্রমের ফল হিসেবে দেখছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনীতিক গোলাম মাওলা রনি।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে মন্তব্য করেন, “ডাকসুতে জামায়াত-শিবিরের বিজয় কোনো ছেলের হাতের মোয়া নয়। এটি ৫০ বছরের অবিরত মেহনত, গত ১৫ বছরের কৌশল এবং গত এক বছরের সুযোগকে কাজে লাগানোর ফলাফল।”
রনি বলেন, প্রতিপক্ষের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, অহমিকা এবং কৌশল ও পরিশ্রমে ঘাটতির কারণেই তাদের পরাজয় হয়েছে। তার মতে, “এই পরাজয় শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে, তা কেবল আল্লাহই জানেন।” তার এই মন্তব্য দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
অনেক শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, রনির বক্তব্য মূলধারার ছাত্র রাজনীতির জন্য একটি সতর্ক সংকেত বহন করছে।
ডাকসু নির্বাচনে শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট একাধিক পদে জয় পেয়েছে। বিশেষ করে ভিপি, জিএস ও এজিএস—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে তাদের প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দীর্ঘদিন পর ডাকসুর ইতিহাসে এমন ফলাফল অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিত হলেও রনি মনে করেন এটি ছিলো সময়ের ব্যাপার।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গোলাম মাওলা রনির মন্তব্য ছাত্ররাজনীতির বর্তমান চিত্র এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশনা সম্পর্কে নতুন ভাবনার জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে জামায়াত-শিবিরকে ঘিরে দীর্ঘদিনের যে বিতর্ক রয়েছে, এই বিজয়ের মাধ্যমে তারা আবারো মূলধারার আলোচনায় চলে এসেছে।