মতের মিল না হওয়ায় জামায়তে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের রাজাকার আখ্যা দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নেতা মাসুদ সাঈদী। বুধবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরও মন্তব্য করেন, যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন করে শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, ইতিহাস ভেঙে সেখানেই সংগঠনটি পুরো প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে।
এই জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘পরিবর্তন আনার অঙ্গীকার রাজনীতিবিদদের করতে হবে, কিন্তু তারা তা করছে না। যখন যে ক্ষমতায় যাচ্ছে তার চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। আমাদের ভাই, আমাদের বন্ধু, যাদের সাথে একসাথে আমরা সংগ্রাম করেছি, এখন মতের মিল হচ্ছে না, তাই রাজাকার হয়ে যাচ্ছি। এই যে অপরাজনীতি এ থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।’
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ পরিষদ আইন করে শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সেই শিবির ডাকসুর নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪ বছরের ইতিহাস ভেঙে পুরো প্যানেলে বিজয়ী হয়েছে। এটাকে আমি মনে করি একটি বড় ব্যাপার। মানুষের চিন্তাধারার পরিবর্তন এসেছে। আমরা বাংলাদেশকে পরিবর্তনের রাস্তায় নিতে চাই। যেখানে অন্য সংগঠন হলে মিছিল মিটিং করতো, মিষ্টি বিতরণ করতো, সেখানে শিবির আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছে, নামাজ পড়েছে। এটাই হলো পরিবর্তন।’
পিআর পদ্ধতিতে ভোটের পক্ষে নিজের অবস্থান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নই। প্রধান উপদেষ্টার সাথে প্রথমেই দেখাতেই আমাদের আমির রমজানের আগে নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা পিআর পদ্ধতি চাই, কারণ ১৯৭১ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত যে কয়টি নির্বাচন হয়েছে সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট পেয়ে সরকার গঠন হয়েছে।’
মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘মোট ভোটের অর্ধেকেরও কম ভোট পেয়ে তারা সরকার গঠন করে দেশের মালিক হয়ে যান, সংবিধান পরিবর্তন করে ফেলছেন, দেশের কাঠামো পরিবর্তন করে ফেলছেন। ৬৫ শতাংশ মানুষের কোনো তোয়াক্কাই করছেন না। এজন্যই আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোনো দল ইচ্ছে মতো স্বৈরাচারি আচরণ করতে পারবে না।’