২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আজীবন সদস্য’ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তবে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু নির্বাচন। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে, ডাকসুতে শেখ হাসিনার আজীবন সদস্য পদ বহাল থাকছে কিনা। বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছেন নব নির্বাচিত ডাকসুর প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে ডাকসুর নব নির্বাচিত এজিএস মহিউদ্দিন খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ডাকসুর আগামী সাধারণ সভায় আমরা শেখ হাসিনার সদস্যপদ বাতিলের দাবি উত্থাপন করব। আশা করি, অধিকাংশের বা সর্বসম্মতিক্রমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ডাকসুতে খুনি ও স্বৈরাচারী হাসিনার আজীবন সদস্যপদ থাকার কোনো নৈতিক ভিত্তি নেই বা থাকতে পারে না।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ ইকবাল হায়দার বলেন, ২০১৯ সালের সরকারে মদদপুষ্ট ডাকসু প্রতিনিধিরা এমন একটি বিতর্কিত ও অযৌক্তিক একটা সিদ্ধান্ত নেয়। ডাকসু প্রতিনিধিরা শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ ভোটে মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। আমাদের প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় কিছুটা আনুষ্ঠানিকতা ছিল। পরবর্তী মিটিংয়ে এই বিষয়টি অবশ্যই তোলা হবে।
নির্বাচিত কার্য নির্বাহী সদস্য মোঃ মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ বলেন, ডাকসুতে শেখ হাসিনা আজীবন সদস্য থাকার কোন সুযোগ নেই। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রাথমিক আলাপও হয়েছে। এই বিষয়ে পরবর্তী মিটিংয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ডাকসুর প্রথম কার্যনির্বাহী সভায় সংগঠনের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিনা অর্নি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব তুলেন। সে সময় ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ২৩ জন প্রতিনিধি তাতে সমর্থন দেন।
তবে, ডাকসু নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে আজীবন সদস্যপদ না দেওয়ার জন্য ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ডাকসুর তৎকালীন সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তবুও ৩০ মে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় শেখ হাসিনাকে এ পদ দেওয়া হয়।