বাগেরহাটের রামপাল তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রে ভারতীয়দের বাড়তি বেতন ও সুবিধা দিয়ে অসম চুক্তির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় নির্মাণকালের সামগ্রিক চুক্তি খতিয়ে দেখবে সংস্থাটি।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি প্রতিরোধ বিভাগের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন একথা জানান।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বেতন বৈষম্য ও ভারতীয়দের প্রাধান্যের অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশি ইঞ্জিনিয়ার পান ১ লাখ টাকা, আর একই পদে ভারতীয় কর্মকর্তা পান ২৫ লাখ টাকা। গত জুনে দুদকের বাগেরহাট অফিস অভিযানে গেলে এ অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগের মধ্যেই এই বিষয়গুলো রয়েছে। আমাদের এনফোর্সমেন্ট টিম এই অভিযোগগুলোর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে, ১১৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জেমকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিস আহমেদ ও পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
এছাড়া, ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রীকে ১ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি।