চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের অমুসলিম বা হিন্দু শাখায় যোগ দিয়েছেন ২৪ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী। রোববার তারা প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যুক্ত হন। তবে যোগদানকারীদের মধ্যে একজন মুসলিমও রয়েছেন।
গাজীপুরে স্ত্রী- সন্তানকে হত্যা*র পর স্বামীর আত্মহ*ত্যা
যোগদান অনুষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াত কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লতিফুর রহমানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। এটি ছিল এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান।
যোগদানকারীদের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা হলেন: সুমন কুমার সাহা, সুকুমার পরামানিক, সঞ্জিত কর্মকার, চন্দন দাস, সুদর্শন মণ্ডল, বহ্মানাথ ঠাকুর, কানাই চৌধুরী, ভরত চৌধুরী, জয় চৌধুরী, সতীশ মণ্ডল, বাবলু মণ্ডল, মিতু মণ্ডল, সুমন মণ্ডল, দোলন মণ্ডল, মন্টু লাল চৌধুরী, স্বপন ঘোষ, দর্শণ মণ্ডল, সুজন ভাস্কর, কৃষ্ণা চৌধুরী, তপন চৌধুরী, কালাচাঁন চৌধুরী, শঙ্কর চৌধুরী, স্বাধীন দাস, ঝড়ু চৌধুরী। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হিসেবে যোগ দিয়েছেন রহমত আলী। সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
নতুন সদস্য সুমন কুমার সাহা জানান, “আমরা জামায়াতে ইসলামীর অমুসলিম শাখায় যোগদান করেছি। অন্যান্য দলেরও অনেক সুযোগ আছে, কিন্তু আমরা আগে থেকে এই দলের সহায়তা ও কার্যক্রম দেখেছি। তারা সবসময় সহায়ক এবং আমাদের ধর্ম পালনে কোনো বাধা দেয়নি। তাই আমরা মনে করেছি, জামায়াত একটি আদর্শভিত্তিক দল।”
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সাবেক এমপি লতিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শ্রী সুমন কুমার সাহার নেতৃত্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আমার মাধ্যমে দলে যোগ দিয়েছেন। আমাদের দাওয়াতি কার্যক্রম সব ধর্মের মানুষের মধ্যে চালানো হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে ঐকমত্য রাখলে সব ধর্মের মানুষ যোগ দিতে পারবে। আমি তাদের ইসলামের সার্বজনীনতা ও শান্তিপূর্ণ দিকগুলো ব্যাখ্যা করেছি। এরপর তারা দলে যোগ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম আরও বিস্তৃত হবে।”
সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল আলীম এবং জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবু বাক্কার বলেন, তারা বিষয়টি জানেন না। ফেসবুকের মাধ্যমে খবরটি তাদের কাছে পৌঁছেছে। তারা জানান, ব্যক্তিগতভাবে দাওয়াতি কার্যক্রম করা যায়, তবে এমন বিশেষ ঘটনায় আগে দলকে অবহিত করা উচিত ছিল।