যুবদলের সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে যুবদলের সাংগঠনিক সভাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলা সদরের মনোহরগঞ্জ বাজারে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষ চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেল ভাংচুর, আগুন দেওয়া এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ সময় অন্তত পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পরে সভা সংক্ষিপ্ত করে জেলা যুবদলের নেতারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়াও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
এতে সাধারণ মানুষ, ক্রেতা-বিক্রেতা ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকানপাট বন্ধ করে দেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মো. আবুল কালামের (চৈতী কালাম) অনুসারী মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের পূর্বনির্ধারিত সাংগঠনিক সভাকে পণ্ড করতে তারা (আজিম গ্রুপ) আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের সভা সফল হয়েছে। হামলায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
কর্নেল (অব.) আজিমের অনুসারী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদুল আলম (বাচ্চু) বলেন, ‘জেলা যুবদলের নেতৃবৃন্দ উভয় পক্ষকে নিয়ে সাংগঠনিক সভা করার কথা থাকলেও এক পর্যায়ে আমাদের নিষেধ করে দেন। তারা যাদের নিয়ে সভা করতে আসেন দলের দুঃসময়ে তারা কেউ মাঠে ছিলেন না। তাই নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল বের করলে তারা (চৈতী কালাম গ্রুপ) আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান, দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের উত্তেজনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।