2.1 C
Munich
Monday, December 23, 2024

বিজয় ভাষণে যুদ্ধ নিয়ে নতুন বার্তা ট্রাম্পের

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে বিজয় ভাষণ দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি যুদ্ধ নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি যুদ্ধ শুরু করব না, আমি যুদ্ধ থামাব।’ তার এই বক্তব্য বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাত বন্ধের এক নতুন প্রতিশ্রুতি হিসেবে ধরা হচ্ছে। ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তির পক্ষে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা তার অন্যতম নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতিফলন।

যদিও ভাষণে তিনি নির্দিষ্ট কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি, তবে ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, ইউক্রেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ নিয়েই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিশেষ করে ইউক্রেনীয়রা তার এই ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, কারণ রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ট্রাম্পের আমেরিকা যদি সহায়তা কমিয়ে দেয়, তাহলে তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  পাইলটবিহীন যুদ্ধবিমান বানিয়েছে ইরান, সফল উড্ডয়ন

বিজয় ভাষণে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের সময়ে কোনো যুদ্ধ ছিল না, আমরা চার বছর কোনো যুদ্ধে জড়াইনি। কেবল আইএসআইএসকে পরাজিত করেছি।’

তিনি আরও বলেন, প্রথম মেয়াদে তিনি উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়নের জন্য ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এবং সিঙ্গাপুরে কিম জন উনের সাথে বৈঠক করেছিলেন। এটি ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম কোনো উত্তর কোরীয় নেতার সাথে বৈঠক।

এদিকে, ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির নেতারা। রুশ বাহিনী বর্তমানে ইউক্রেনীয় অঞ্চলগুলোতে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের মানবশক্তি ও অস্ত্রসজ্জায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। ইউরোপীয় মিত্ররাও দীর্ঘকাল ধরে আর্থিক ও সামরিক সহায়তা করতে করতে ক্লান্ত এবং ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকার সহায়তা বন্ধ হলে ইউক্রেন আরও সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুনঃ  হাসিনার ট্রাভেল ডকুমেন্টে কী লিখেছে ভারত

নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাবেন। এই ঘোষণা ইউক্রেনের জন্য আরও শঙ্কার কারণ হয়েছে। মার্কিন সহায়তা না থাকলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও দুর্বল হয়ে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক মিত্ররাও হয়তো দূরে সরে যাবে।

বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার এই উদ্যোগে ট্রাম্প সফল হবেন কিনা, তা নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা ও বিশ্লেষণ।

সর্বশেষ সংবাদ