বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক সন্তানের জননী। দাবি না মানলে ব্যাগে থাকা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার হুমকিও দিচ্ছেন তিনি। এদিকে তাকে দেখে পালিয়েছে প্রেমিকের বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালীর হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামে ঘটানাটি ঘটেছে। প্রেমিক আতিকুল ইসলাম রাসেল (২৫) একই এলাকার শের আলীর ছেলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বোরকা পরে এক নারী ঘরের সামনে বসে আছে। স্থানীয়রা তাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন। এ সময় প্রেমিক রাসেলদের পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের ঘরের দরজা বন্ধ।
স্থানীয়রা জানান, মেয়েটি সকাল থেকে রাসেলদের বাড়িতে অবস্থান করছে। তাকে বিয়ে করা না হলে সে বিষপানে আত্মহত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় ছেলের পরিবারের সবাই পালিয়েছে। এলাকার লোকজন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে। তারা বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না। ইতোমধ্যে থানা থেকে পুলিশের লোকজন এসেছে।
প্রেমিকার সঙ্গে এসেছে তার বোনের জামাই ইসরাফিল। ইসরাফিল জানান, চার বছর আগে ঢাকাতে গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে দুজনের পরিচয়। শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে চাকরিচ্যুত করা হয় প্রেমিক রাসেলকে। কিন্তু এরপরও তাদের যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘোরাফেরা করেন। আমার শ্যালিকা বিবাহিত, সে এক সন্তানের জননী। এক বছর আগে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তাদের তালাক হয়ে যায়। এখন রাসেলও তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, রাসেলের সঙ্গে আমার দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক। রাসেল আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে শারীরিক সর্ম্পক চালিয়ে আসছে। গোপনে ভিডিও করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে। রাসেলের দেওয়া বিয়ের আশ্বাসে আমি স্বামীকে ত্যাগ করি। এর আগে রাসেল বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। এখন রাসেল আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এজন্য ঠিকানা সংগ্রহ করে আমি রাসেলের বাড়িতে এসে অবস্থান করছি। রাসেল আমাকে বিয়ে না করলে বিষপান করে আত্মহত্যা করব। আমার মৃত্যুর জন্য এই পরিবারের সবাই দায়ী থাকবে।
হাতিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জেরে এক নারী ঢাকা থেকে হাতিয়া এসেছে। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।