ভারতের মণিপুরে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর গোপন ডেরায় স্টারলিঙ্কের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র উদ্ধার হওয়ায় ইলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্কের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমেরিকার ধনকুবের শিল্পপতি মাস্কের কোম্পানি কি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর স্বাধীনতা সংগ্রামে সহায়তা করছে কি না, এমন প্রশ্নও উঠছে বেশ জোরেসোরেই।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী যে যন্ত্রগুলি উদ্ধার করেছে, সেগুলোর ওপর স্টারলিঙ্কের লোগো স্পষ্ট ছিল। গোয়েন্দাদের মতে, মণিপুরের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ এবং ‘রেভলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট’ নামক বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই যন্ত্রের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করছিল।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার স্টারলিঙ্কের উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও অনুমোদন দেয়নি, তবে মাস্কের সংস্থা ভারতের বিভিন্ন এলাকায় দ্রুত পরিষেবা চালু করার জন্য আবেদন করেছে। এই পরিস্থিতিতে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে স্টারলিঙ্কের যন্ত্র পাওয়ার ঘটনা সরকারের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগে গত নভেম্বরে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে একটি মাছ ধরার নৌকায় স্টারলিঙ্কের যন্ত্র উদ্ধার হয়েছিল, যেখানে মাদক পাচারকারীরা এটি ব্যবহার করছিল বলে ধারণা করা হয়।
ইলন মাস্ক এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “ভারতে স্টারলিঙ্ক কোনো ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করছে না।”
তবে গোয়েন্দাদের মতে, মায়ানমার ও প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্য দিয়ে চোরাচালান হয়ে এই যন্ত্রগুলি মণিপুরে পৌঁছেছে।
গোয়েন্দারা জানান, সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং মাদক পাচারকারীরা স্টারলিঙ্কের যন্ত্র ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং বিদ্রোহী কার্যক্রমে সহায়তা করছে।