টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে ৪ মুসল্লি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মিছিলে করায় শ্যামলীর এক মাদরাসা বন্ধের হুমকির অভিযোগ উঠেছে শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এশার নামাজের পর শ্যামলীর মাদরাসাতুল কাউসার আল ইসলামিয়ায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, এশার নামাজের পর মঈন উদ্দিন তার সহযোগীদের নিয়ে মাদরাসায় প্রবেশ করেন এবং কর্তৃপক্ষের ওপর চড়াও হয়ে নানাভাবে হুমকি প্রদান করেন। এসময় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি তিনি মারমুখী আচরণ করে বলেন, আমি চাইলে মাদরাসা বন্ধ করে দিতে পারি। তার এই বক্তব্যের ফলে মাদরাসার পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে মঈন উদ্দিনকে দলবল নিয়ে মাদরাসায় প্রবেশ করতে এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে দেখা যায়।
শুক্রবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সংঘটিত চারজন হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মাদরাসার ছাত্ররা এক প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে দিল্লীর সাদপন্থিদের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধসহ অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানো হয়। বিশেষ করে মাদরাসার পার্শ্ববর্তী মসজিদে সাদপন্থিদের উৎখাত করার জোর দাবি তোলা হয়৷
মাদরাসা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে মিছিলের কারণে বিএনপি নেতা মঈন উদ্দিন মাদরাসায় এসে হুমকি দেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, “বিএনপি নেতারা সাদপন্থিদের পক্ষ নিয়ে মাদরাসায় হুমকি দিতে আসছে কেন? যখন সাদপন্থিরা স্পষ্টভাবে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত?
মাদরাসার এক প্রবীণ আলেম বলেন, আওয়ামী লীগের জুলুমের শিকার হয়েছি এতদিন। এখন দেখছি বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই জালিমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং প্রশাসনের কাছে ঘটনার বিচার দাবি করেছে৷
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিএনপি এবং আলেম সমাজের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব বাড়াবে।
তবে এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি