লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শেফালী বেগম ও ভাবনা আক্তার নামে দুই নারীকে প্রকাশ্যেই পিটিয়েছেন যুবলীগ নেতা রাশেদ আলম। এই ঘটনার একটি ভিডিও রোববার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। মারধরকারী যুবলীগ নেতার বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাশেদ এলাকা থেকে গাঢাকা দিয়েছে।
দুই নারীকে পেটানো রাশেদ আলম সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের সাহাদুল্লাহ্ হাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
ভাইরাল হওয়ায় ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে ওই দুই নারীকে কাঠ দিয়ে মারধর করছে রাশেদ আলম। তাকে স্থানীয় কিছু লোক আটকানোর চেষ্টা করে। পরে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নির্যাতনের শিকার দুই নারী একে অপরের নিকট-আত্মীয় হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, ভুক্তভোগী ভাবনার মা ফাতেমা আক্তার তার (ভাবনা) নানার বাড়িতে ২০০৩ সালে কিছু জমি কেনেন। তবে সেই জমি জোরপূর্বক তার দূর সম্পর্কের মামাতো ভাই রাশেদ বিক্রি করে দেন। ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে রোববার দুপুরে ভাবনা ও তার খালাতো বোন শেফালী বেগম বাধা দেন। একপর্যায়ে অভিযুক্ত রাশেদ তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
বিষয়টি নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ভিডিওটি দেখছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। মামলার প্রস্তুতি চলচে ও জড়িত রাশেদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।