লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সদস্যদের কাছে থাকা পেজার (তারহীন যোগাযোগযন্ত্র) বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে এক ভারতীয়র নাম এসেছে। এ বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত ও প্রায় তিন হাজার মানুষ আহত হন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নরওয়ের নাগরিক রিনসন জোসের বুলগেরিয়ান কোম্পানি থেকে পেজারগুলো হিজবুল্লাহর কাছে সরবরাহ করা হয়। ৩৭ বছর বয়সী রিসন ভারতের কেরালার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি পরে নরওয়েতে গিয়ে নাগরিকত্ব পান।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএস জানায়, রিনসন উচ্চশিক্ষার জন্য কয়েক বছর আগে নরওয়ে যান। তিনি এর আগে কিছু দিন যুক্তরাজ্যের লন্ডনেও ছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, প্রতিটি ডিভাইসে তিন গ্রাম বিস্ফোরক লুকানোর মতো ব্যবস্থা করে রেখেছিল ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তাইওয়ানভিত্তিক কোম্পানি গোল্ড অ্যাপোলো এই পেজারগুলো তৈরি করে।
পরে তাইওয়ানভিত্তিক কোম্পানিটি জানায়, এই পেজারগুলো আসল প্রস্তুতকারক কোম্পানি বিএসই কনসালটিং কেএফটি নামের বুদাপেস্টভিত্তিক একটি কোম্পানি। তাদের গোল্ড অ্যাপোলোর ট্রেডমার্ক ব্যবহারের অনুমোদন ছিল।
বিস্ফোরণের দুই দিন পর বুলগেরিয়ান নিরাপত্তা সংস্থা ডিএএনএস জানায়, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিএসই কনসালটিং কেএফটি নামের কোম্পানিটির ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করবে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার ডিএএনএস জানায়, লেবাননে বিস্ফোরিত পেজারগুলো বুলগেরিয়া থেকে রপ্তানি বা প্রস্তুত করা হয়নি।
এদিকে নরওয়ে পুলিশ জানায়, তারাও পেজার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।
গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত যোগাযোগযন্ত্র পেজারে একযোগে বিস্ফোরণ হয়। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এতে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছে। পরদিন ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে আরও ২৫ জন নিহত হয়।