জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি প্রথম বিদেশ সফর। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে তিনি আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর বক্তৃতা করবেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সফরটি হবে সংক্ষিপ্ত। তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবেন। আর নিউ ইয়র্ক থেকে ঢাকায় রওয়ানা দেবেন ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে।
জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এই তালিকায় আছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী ডিক শফ, বাহরাইনের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী সামলমান বিন হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফ, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা।
এদের পাশাপাশি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডিসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রধানেরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন।
সূচি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ড. ইউসূন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্য প্রাপ্তির ৫০ বছর উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে একটি সংবর্ধনার আয়োজন আয়োজন করছে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন। ওই অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। এর পাশাপাশি নিউ ইয়র্কে অবস্থানের সময় তিনি সামাজিক ব্যবসা, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ী পরিষদের সভায় অংশ নেবেন।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নির্ধারিত বক্তৃতা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় বাংলাদেশে ৫ আগষ্ট পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের দর্শন প্রতিফলিত হবে। বিশেষ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের গর্বিত ও মর্যাদাশীল দেশের জনগণ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে কীভাবে নিজেদের তুলে ধরবে সেটাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। দেশের ভবিষ্যত আকাঙ্খার উল্লেখ করে তিনি ভূরাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদাত্তভাবে আহ্বান জানাবেন।