গাজা ও লেবাননে সংঘাতসহ নানা ইস্যুতে ইসরাইলের ওপর ক্ষুব্ধ ইরান। দুই পক্ষের মধ্যে এরইমধ্যে ঘটে গেছে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবার তার সামরিক কর্মকর্তাদের ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশোধমূলক হামলার’ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে এক প্রতিবেদনে।
ইরানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। তাদের বরাত দিয়ে আরেক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জানিয়েছে, ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের আগে হামলা চালাবে না ইরান।
তবে অন্যান্য কিছু গণমাধ্যম সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, ইরান মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে।
তেহরানের যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে টাইমস বলেছে, ইসরাইলি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর সর্বোচ্চ নেতা খামেনি গেল সোমবার তার সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলকে পরিকল্পনার (হামলার) নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের সামরিক কর্মকর্তারা ইসরাইলি সামরিক লক্ষ্যবস্তুর সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) একটি উচ্চপদস্থ সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ইরানের ওপর ইসরাইলের সাম্প্রতিক আক্রমণের একটি ‘সুনির্দিষ্ট’ এবং ‘বেদনাদায়ক’ প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ঘটতে পারে।
ইরান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওই সূত্র সিএনএনকে বলেছেন, ইহুদিবাদী শাসকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া হবে ‘সুনির্দিষ্ট’ এবং ‘বেদনাদায়ক’।
হামলার সুনির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না করলেও, সূত্রের মতে, ‘এটি সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগের দিন ঘটবে।’