0.2 C
Munich
Monday, December 23, 2024

মধ্যরাতে যে ডাক দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিলোপে রেষারেষি ও দলাদলির বদলে
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্ট দিয়ে ঐক্যের ডাক দেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, বিগত দেড় দশকের আওয়ামী স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে নির্মমভাবে পিষ্ট হয়েছে বিএনপি ও জামায়াত। আওয়ামী লীগের অন্যায়, অবিচার ও প্রহসনমূলক অপশাসনের দরুন তারা তাদের বহু সংখ্যক একনিষ্ঠ নেতা-কর্মীকে চিরতরে হারিয়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণসহ সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে বিগত দিনগুলোতে দল হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর আওয়ামী লীগ চালিয়েছে নির্মমতম অত্যাচারের খড়গ।

তিনি আরও লিখেছেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া খেটে খাওয়া দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ শিশু-কিশোররাও আওয়ামী লীগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন ঢাবির শিবির নেতা আল আমীন

ফ্যাসিবাদী আওয়ামী স্বৈরশাসনের দুর্দিন পেরিয়ে চব্বিশের সফল গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন করে দিয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার চিরতরে বিলোপের স্বার্থেই সব নিপীড়িত দলকে এক মহান ঐক্যের সামনে হাজির করেছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান।’

অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের কোনো ঠাঁই নেই মন্তব্য করে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘দল হিসেবে যারা দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের আপামর মানুষের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করে গুম-খুন ও অন্যায়-অবিচারের রাজত্ব কায়েম করেছিল, সেই আওয়ামী লীগের আগামীর ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনার বিন্দুমাত্র সুযোগ অবশিষ্ট নেই। দলটিকে নিষিদ্ধকরণ ও বিগত বছরে আওয়ামী অপশাসনের পেছনে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছে তাদের বিচারের দাবিই এখন বাংলাদেশের তামাম জনগণের মুখে-মুখে, অন্তরে-অন্তরে।’

আরও পড়ুনঃ  সচিবালয়ের ভেতর থেকে ফেল করা ৫৩ শিক্ষার্থী আটক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই আহ্বায়ক আরও লিখেছেন, ‘একটি ব্যাপার আমাদের মনে রাখা দরকার, এত রক্ত বিসর্জনের পরে আমরা কেউই আর ৭১ ও ৯০-এর ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি চাই না। আমরা যেমন চাই না আমাদের দেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হিসেবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক, তেমনই চাই না যে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে পুনরায় কোনো বহিশক্তির আধিপত্য কায়েম হোক। দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে এই মহৎ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমাদের সকলের একতা বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে দল-মত নির্বিশেষে আমরা এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব একই গন্তব্যের দিকে।’

বিভাজন চান না জানিয়ে এই সমন্বয়ক লেখেন, ‘সুতরাং আমরা বিভাজনের বদলে ঐক্য চাই। অপশাসনের বদলে সুশাসন চাই। বাংলাদেশের মানুষ বহুকাল যাবত নানাবিধ দুর্দশায় দিনানিপাত করছে। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাই। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিতকরণে এই মুহূর্তে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলের ঐক্য অপরিহার্য। সুতরাং আমরা পারস্পরিক রেষারেষি, অবিশ্বাস ও দলাদলির বদলে একতা ও ঐক্যের দৃষ্টান্ত কায়েম করব। একই লক্ষ্য বাস্তবায়নে দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবাই আগামীতে এক হয়ে কাজ করব।’

আরও পড়ুনঃ  ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তাকে গ্রেপ্তার দাবি সারজিস আলমের

সর্বশেষ সংবাদ