গণ-অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন” এর ভূমিকার সমালোচনা করেছেন ছাত্রদলসহ ২৮টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেছেন, অভ্যুত্থানের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলোকে অপরায়নের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। অভ্যুত্থানে হাজারো জনতার রক্তের উপরে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিলো গোষ্ঠীগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহারের কারণে তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
এসময় নেতৃবৃন্দরা হুঁশিয়ারি করে আরও বলেন, আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে উঠা এই জাতীয় ঐক্যে যদি ভাঙনের সৃষ্টি হয় তার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বরা কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাটাবনের একটি রেস্টুরেন্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ২৮টি ছাত্রসংগঠন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর ভূমিকাসহ সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
এই মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রণ না পাওয়ায় অংশগ্রহণ করেনি ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করেছি।’
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেদের রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন মনে করে না, তাই তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এখানে শুধু রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছিল। আর শিবিরের ব্যাপারে অনেকের আপত্তি থাকায় তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি।’
অন্যদিকে, সভায় অংশ নেয়া ছাত্র সংগঠনসমূহের মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্র সমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন।