0.1 C
Munich
Monday, December 23, 2024

ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহত নাফিসা পেলেন জিপিএ-৪.২৫

জনপ্রিয় সংবাদ

সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিয়ে নিহত শিক্ষার্থী নাফিসা হোসেন মারওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.২৫ এ উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সম্মুখ সারিতে ছিলেন। গত ৫ আগস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন থানা রোডে পুলিশের গুলিতে মারা যান তিনি।

আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসির ফল প্রকাশ হলে নাফিসার বাবা আবুল হোসেন জানান, তার মেয়ে নাফিসা জিপিএ-৪.২৫ পে‌য়ে‌ উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তিনি বলেন, মেয়ের যাতে লেখাপড়া নষ্ট না হয়, সেই জন্য রান্না করতে দিতাম না। চায়ের দোকান দিয়ে যা দুই টাকা উপার্জন করেছি, মারওয়ার লেখাপড়ায় দিয়েছি। মেয়ে আমাকে না জানিয়ে ১৮ জুলাই থেকে উত্তরায় যেত আন্দোলনে। সারাদিন দোকানে থাকায় খোঁজ পেতাম না। প্রতিবেশীর কাছে জেনে মেয়েকে ঘরে আটকাই রাখি। আন্দোলনে যাওয়া নিয়ে খুব রাগ করেছিলাম। তবে মেয়ে আমাকে ফাঁকি দিয়ে গেছে। ৩ আগস্ট বলল, লেখাপড়া নেই, ঘরে থেকে দমবন্ধ লাগছে। সাভারে মামার বাসায় বেড়াতে যাবে। ভেবেছিলাম, সাভারে গেলে আন্দোলনে যাবে না।

আরও পড়ুনঃ  নওমুসলিমদের আইনজীবী ছিলেন আলিফ, এ জন্যই ইসকনের টার্গেট

আবুল হোসেন বলেন, সাভারের বক্তারপুরে মামার বাসায় গিয়ে পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবার আন্দোলনে যায়। ৪ আগস্ট দুপুরে মেয়েকে ফোন করলে গোলাগুলির শব্দ শুনি। মেয়ে তখন স্বীকার করে, আন্দোলনে আছে। আর পিছিয়ে আসার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট থানা রোডে যায় নাফিসা। তারপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ফোনে বলল, শেখ হাসিনা পলাইছে। আব্বু, আমি গণভবন যামু। আজ আমারে বাধা দিও না। আমি বললাম, শেখ হাসিনা পলাইছে, তাতে তর বাপের কী! তর বাপে করে চায়ের দোকানদারি।

আবুল হোসেন বলেন, রাগ করে ফোন রেখে দিই। দুপুর ২টার দিকে মেয়ের ফোন থেকে এক ছেলে জানায়, আমার মেয়ের বুকে গুলি লাগছে। মেয়েটা সোয়া ২টার দিকে আমারে ফোন করে বলে, আব্বু আমি মরে যামু। লাশটা নিও। এটাই মেয়ের শেষ কথা ছিল।

আরও পড়ুনঃ  আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ দেখতে আসেনি, কারণ আমার পরিবারে কেউ নেই

সর্বশেষ সংবাদ