বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর বিভাগে বিএনপি আয়োজিত তিনটি কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এই কর্মশালাগুলিতে উপজেলা, থানা ও পৌরসভা পর্যায়ের আড়াই হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী অংশ নেন। ঢাকা বিভাগের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে।
তারেক রহমান বলেন, প্রচন্ড দমন-পীড়নের মধ্যেও বিএনপির নেতাকর্মীরা জনগণের আস্থা ধরে রেখেছেন। কেউ যদি ব্যক্তিস্বার্থে এই আস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি সকল স্তরের নেতাদের নির্দেশ দেন, অধীনস্থদের কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে, যাতে কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, ৩১ দফা প্রস্তাব বাস্তবায়ন এবং জনগণের সেবা করার জন্য জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় ফিরে আসতে হবে। দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ ও পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে যদি এই লক্ষ্য অর্জন করা না যায়। সাফল্যের জন্য জনগণের সমর্থন অপরিহার্য। তিনি দলীয় সহকর্মীদের সঠিক পথে চলার এবং নৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকার আহ্বান জানান। অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং অপকর্মের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। যেকোনো মূল্যে জনগণের আস্থা ধরে রাখার প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
তারেক রহমানের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে বিএনপি জনগণের বিপুল সমর্থন ভোগ করছে, যা অনেক রাজনৈতিক দলের ঈর্ষার কারণ। দলের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা দলের অভ্যন্তরে অনেক দালাল ঢুকিয়ে দিয়েছে। সবাইকে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, প্রধান প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও আগামী নির্বাচন পূর্বের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে কঠিন হবে। জনগণের সমর্থনে এই কঠিন নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করার মতো ভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। জনগণের সাথে থাকতে হবে এবং জনগণকে নিজেদের সাথে রাখতে হবে।