জামায়াতে ইসলামীর প্রতি একটা ভ্রান্ত ধারণা ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য শুনে সেই ভ্রান্ত ধারণা কেটে গেছে। জামায়াতের নেতারা যেভাবে হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা জামায়াত ইসলামীর উদ্যোগে আয়োজিত উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভা হিন্দু নেতারা এসব কথা বলেন। উপজেলা জামায়াতের কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামীর কঠোর অবস্থানের কারণে সালথায় সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হয়নি। কোথাও কোনো মন্দিরে হামলা হয়নি। এই কারণে জামায়াতে ইসলামীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।
সালথা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাওলানা আবুল ফজল মুরাদ বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা-বাণিজ্য রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী যেভাবে নিরাপত্তা দিয়েছেন। চলমান শারদীয় দুর্গাপূজায়ও আমরা সেইভাবে নিরাপত্তা দিতে কাজ করছি। আশা করি, সালথায় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না। আর যদি কেউ কিছু করার চেষ্টা করে, তাহলে আমরা শক্ত হাতে তা দমন করব।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সালথা উপজেলা শাখার সভাপতি চৌধুরী মাহবুব আলী সিদ্দিকী নসরু, ভাওয়াল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, রামকান্তুপুর ইউনিয়নের সভাপতি মুকুল হোসাইন, বল্লভদী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান, আটঘর ইউনিয়নের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু অরূপ কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক বাবু অনন্ত কুমার বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু পুল্লাদ শীল প্রমুখ।